লোকসঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কুষ্টিয়া পৌর কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো লালনগীতির এই মহান শিল্পীর বর্ণাঢ্য জীবনের পথচলা।
শনিবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে নেমে আসে শোকের ছায়া। রবিবার সকালে শিল্পীর মরদেহ কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের নিজ বাড়িতে আনা হয়। সেখানে ভিড় জমান স্বজন, বন্ধু ও ভক্তরা। পরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজারো মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা থেকে কুষ্টিয়ায় বেড়ে ওঠেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে পেশাদার সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। ৫৫ বছরের সঙ্গীত জীবনে তিনি লালন সঙ্গীতে নিজস্ব এক ঘরানা তৈরি করেন। তার কণ্ঠে ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ ও ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর’ এর মতো বহু জনপ্রিয় লালনগীতি জীবন্ত হয়ে ওঠে। শ্রোতারা ভালোবেসে তাকে ‘লালনকন্যা’ উপাধি দিয়েছিলেন।
সঙ্গীতে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৮ সালে ফিরোজা বেগম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন। শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি সমাদৃত ছিলেন। ২০০৮ সালে জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনএইচকে তাকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করেছিল।
বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন এই গুণী শিল্পী। তার মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার গান ও শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে তিনি চিরকাল মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
শনিবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে নেমে আসে শোকের ছায়া। রবিবার সকালে শিল্পীর মরদেহ কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের নিজ বাড়িতে আনা হয়। সেখানে ভিড় জমান স্বজন, বন্ধু ও ভক্তরা। পরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজারো মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা থেকে কুষ্টিয়ায় বেড়ে ওঠেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে পেশাদার সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। ৫৫ বছরের সঙ্গীত জীবনে তিনি লালন সঙ্গীতে নিজস্ব এক ঘরানা তৈরি করেন। তার কণ্ঠে ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ ও ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর’ এর মতো বহু জনপ্রিয় লালনগীতি জীবন্ত হয়ে ওঠে। শ্রোতারা ভালোবেসে তাকে ‘লালনকন্যা’ উপাধি দিয়েছিলেন।
সঙ্গীতে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৮ সালে ফিরোজা বেগম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন। শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি সমাদৃত ছিলেন। ২০০৮ সালে জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনএইচকে তাকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করেছিল।
বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন এই গুণী শিল্পী। তার মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার গান ও শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে তিনি চিরকাল মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।